গর্তের অসভ্য মুখ। হিস্‌ : অনুপম মুখোপাধ্যায়






।। টি পুনরাধুনিক কবিতা।।


“Dearest, piddle on me, / Because your piddle is like hard water, / Loving dearest, shit one in my hand, / Because your shits are like amber here.” (Maffio Venier, 16th century Venetian poet)


পোড়া রোগীপোড়াদেহেকাৎ হয়ে আছে। আগুন না খেয়ে বুদ্ধ খুব রোগা। হয়ে গ্যাছে। আরেকটু ডুব মারলেহাড়। বাদামিও মিলিয়ে গ্যাছে সেখানে। পাছার মাংসে তুমি। গোবিন্দকে পাবে। কোমরের ছালে রাধা। ব্যথাপুড়ে ছাই।  দণ্ড শুয়েশুয়ে কাৎ। কৃষ্ণের খৃস্টের পেরেক তো সে। নয়সরসতা শেষ হলে কোথাও একটু সত্য বাড়ে না। নাক মৃদু কেঁপে ওঠে মুখে যে রক্ত আসে লজ্জায় ঘৃণায় নয় প্রাণ ফেটে আসে
বিরাট। ১টা গর্তে বিশ্বাসকে করছি
বিশ্বাস। জ্যোৎস্না হয়ে থাকছে
১দল ভেড়া ১টাই ভেড়া
মুখের ভাপে। হাড় গলে গলে
গর্তের মুখজুড়ে
ছড়ছড় কলকল
অনর্গল
চুলমাখা চাঁদ করার শব্দ
ফুলপশম। আরতির
চুত থেকে চ্যুত হচ্ছে জ্বল
ইয়েবাড়ির দিকে। বিয়েবাড়ির আগে গাঁঢ় ইয়ে মারি শিশু হয়ে যাইহ্যান্ডিক্যাম থেকে ফিরে আসে দোলনাবোঝাই লোকাল ট্রেনগুলো। মাত্র ৭ সেকেন্ড ব্যক্তিগত কাল। বাঁকুড়ার কাল। বনগাঁর কাল। মহাকাল হয় না। পায়ে দলে সম্পর্কটাকে পাঁউরুটি বানিয়ে ফেলছে তোমার অমর আমার প্রেমগালিচা আর পিয়ানোর মধ্যে বিকালের অন্ধকার। গন্ধ। যে বালিশ তুলোয় ঠাসা। তার কোণে ছোট্ট ১ গোলাপ এঁকেছেক্যালামাইন কত আর মাখিয়েছে। বলো
আমার কে মুঠ্‌ খুঁজছ হে
গান নিচ্ছ লুট্‌ দিচ্ছ না
ভোর  হলে চাঁদ তো আর
গোল থাকছে না
গোলক হয়ে যাচ্ছে
বিয়ে করার পরে মারলে শিশু হয় না। বিচিত্র অবস্থায় আমি তোমার পেছনে। ঘরের দিকে মুখ রেখে মহকুমা সূর্য সাক্ষী রেখে ঢুকিয়ে দিলাম এই। কোন কোন পাতায় পোকা রেখেছিলে। কটা ডানা ঝরে গিয়েছিল। আলাদা আলাদা দণ্ডের শিরা টিপে দ্যাখো আমার এই উদয়ে জড়িয়ে রাখার কিছু নেই। নাই। অস্তকেই সাক্ষী মানলাম
শীৎকারের কালে। প্লিজ
তুৎলিও না
চন্দ্রাবলী সোনা
বরং
চেপে ধরো
মনভরা আর্তঢং করো
যে আর্তকে জানে। সে আর্ত হয়ে যায়। যতক্ষণে শেষ হয় বসনের ক্রিয়া যুবতীর শেষ কোনো অপমান নেই। আর্তের গভীরে থাকে অ্যাডাল্ট পিকচার। এ মার্কা ছবি দেখলে পুনর্জন্ম হয় কুকুরের পিঠে হয় পথের সঙ্গম। খালিহাতে এসেছিলে হাত ধোও ফেরো। টগর গাছের পাশে। ১ সতেরর মেয়ে। কোলে। বিড়ালের লোম রং চালধোয়া সাদা। তোমার নির্লোম door দ্বার দোর মোছা হোকফুঁ দিই। বার্নল লাগাই



                                                                                                                   (চিত্রঋণ : Belkis Ayon)

24 comments:

  1. কবিতাটি আদিরসের নয়,,,, প্রতিটি লাইনে প্রচ্ছন্ন উদাসিনী অবস্থান,,,, চমকের কোনো খামতি নেই,,,,, অসাধারণ,,,

    ReplyDelete
  2. অসাধারন লেখা ...

    ReplyDelete
  3. অনুপম এবার বাঁকবদল করে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে । ভালো লাগল বাঁকবদলটা ।

    ReplyDelete
  4. আপনার কবিতা আমার ভালো লাগে । এই কবিতাগুলো অতুলনীয় বললেও কম বলা হয় । সম্পূর্ণ অন্যরকম কবিতা লেখেন আপনি । কবিতাগুলোর অর্থ বুঝতে অসুবিধা হয় না । অথচ এখন যে ধরণের কবিতা লেখা হচ্ছে, বিশেষ করে অন্ত্যমিলের একঘেয়ে কবিতা, তা থেকে আপনার কবিতার ধারার কোনো মিল নেই । অভিনন্দন ।

    ReplyDelete
  5. ভয়াবহ লেখা।অনেকে,অনেকেই নিতে পারবে না নিশ্চিত...

    ReplyDelete
  6. এই কবিতাটি এখানে প্রকাশ্যে আসার আগের পাঠক আমি। অতএব, এর সঙ্গে আমার পুরনো একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে আছে। দেখছি, আমার প্রথম পাঠের থেকে কিছু পরিবর্তন নিয়েছে এখানে। অনুপমের চলতি ফর্মের সঙ্গে টানাগদ্যের একটা মিলমিশ অন্যতর দ্যোতনা পেয়েছে লেখাটি। জার্নি থেকে জার্নিতে সব সময় উপভোগ্য, অনুপম।

    ReplyDelete
  7. খুব ভালো লাগলো।

    ReplyDelete
  8. কতগুল‌ো শব্দ য‌েন খ‌েলত‌ে খেলত‌ে একদম গভীর‌ে চল‌ে যাচ্ছ‌ে,শুরু থ‌েকে শ‌েষ পর্যন্ত ন‌ৈপুণ্য,কাব্য‌িক বুনন। উপভ‌োগ্যতা। ঋদ্ধ হলাম।

    ReplyDelete
  9. বরাবরের মতো ভালো লাগা,কবি♥♥♥

    ReplyDelete
  10. তোমার লেখার থেকে আলাদা....ভালো লাগলো বেশ

    ReplyDelete
  11. আপনার এর আগে যে কিছু কবিতা পড়েছি এবারেরটি সেসবকেও ছাপিয়েছে,আপাতত এটুকুই।

    ReplyDelete
  12. দেড় ইঞ্চি ঘাড় কাৎ করে সমস্তটুকু মহীরুহ।
    অতএব যেটুকু সভ্যতা জবানবন্দী হয়ে এলো।সদ্যস্নাতা।
    গাঢ় চুম্বন প্রলেপ।

    ReplyDelete
  13. ভাস্কর্য তৈরির ক্ষেত্রে আপনার অনবদ্য আগেও পেয়েছি । আবার পেলাম । নতুন আঙ্গিকে ।
    ছোট ছোট রূপ ফুটে ওঠে মনের আগায় আর বাতাসে দোল খায়

    ReplyDelete
  14. অনুপমের বাগবদল ও বাঁকবদলে ঘটে গেছে মনে হয়। এবং তা অবশ্যই ভালোর দিকে। হ্যাঁ, বাগবিন্যাসও বদলেছে। এই বদল কিন্তু বেশ ভালো লাগছে। আগেরগুলোও ভালো লাগত। এটা অন্যতর ভালো লাগছে। বেশ ভালো।

    ReplyDelete
  15. অনেক দিন পর এমন ঝকঝকে অনুপমদা কে পেলাম! :)

    ReplyDelete
  16. নতুন লেখা।। অন্যরকম লাগল। ভালো অনুপমদা

    ReplyDelete
  17. চারশো চল্লিশ ভোল্ট বা মেট্রোর তৃতীয় লাইনের মতো সর্বনেশে। কাছে যেতে গেলে এটা জেনে রাখা প্রয়োজন। অনুপমের অন্যান্য কবিতার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এর রসই স্বতন্ত্র। দেখা যাক কবি এই অনন্য স্টাইলে পরবর্তী কবিতাটা লিখবেন কিনা !

    ReplyDelete
  18. অনেক কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধে-শব্দ, বাক্য, বাক্যাংশ ভিজেগেছে অর্থের পাচক রসে।কেউ কেউ পাঠকের লাল-চোখের ভয়ে পালিয়ে বেঁচে আছে চেতনার খাঁজে ভাঁজে।সে অর্থে অনুপম মুখোপাধ্যায় সেই লোকটি যিনি পাখি শিকারির হাতে টাকা গুঁজে পাখিটিকে আকাশ দেখান।কবিও শব্দের মুক্তি ঘটিয়েছেন, দায়িত্বের ভারে ভারাক্রান্ত শব্দ,বাক্যাংশ দলবেঁধে বাসায় ফিরছে পাঠাক শান্ত বিকেলে আকাশে তাকিয়ে কবিতার জন্মক্ষণের সাক্ষী থাকছে।বিভিন্ন স্থানে দেখা দর্শকের কাছে বিভিন্ন ফ্রেমে স্বাদ দিচ্ছে।বিশ্বাস আদমের জন্ম দিয়েও বেহেসতের বাগানে অবিশ্বাসের ফল।পতন।শয়তানের বিপ্লব । জীবনযুদ্ধের ক্ষতবিক্ষত সৈনিক পেছনে এসে দাড়িয়ে।ধর্ষকের ও পেছনে ফুটো।অসুরক্ষিত ফুটো।.........তার পরেও কবি সেই কালে এই কালে বিশ্বাস রাখেননি।রেখেছেন মহাকালে।যেখানে সঙ্গীত সাত সুর পৃথক পৃথক ভাবে বেজে চলেছে।

    ReplyDelete
  19. বাঁক বদল কিনা বলতে পারব না। তবে আপনার নাম না দিয়ে ছাপলে বোঝা যাবে আপনার লেখা এমন একটা স্টাইল।

    ReplyDelete