বাক্‌ ১০৯ : নুসরাত নুসিন


আধিদৈবিক সহস্রধারা

বৃষ্টির শব্দ শুনছি গোপন, অবচেতন শব্দ হয়ে ফিরে আসছে পৃথিবীতে একমাত্র বৃষ্টিই প্রতিফলিত মানুষ হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসে

জলের উলম্ফন ক্রমাগত তৈরি করছে মুখ কাছের ভাইবোন এলোমেলো সুরের প্রতিধ্বনি, জলের উপর জলের নাচন, ফোটা ফোটা রূপকথা-- আমাদের গ্রাম কাপাসি, জলডাঙার অর্কেস্ট্রা নাতিদীর্ঘ বিলগুলো ঝা-ঝা দুপুর, রোদবৃষ্টি আর খেকশিয়ালের ধুম্র খেলায় বুঝতেই পারিনি, বৃষ্টি হয়ে যাবো জলের অগভীরে ডুব দিয়ে কেবল তুলে নিতাম,
আধিদৈবিক বিস্মরণ মানুষ সহস্রধারার মতো কই কই চলে যায়!

আমাদের বিলগুলো মনের ময়দান হঠাৎ বেরিয়ে পড়লে ময়দানে জড়ো হই কেউ কাউকে দেখতে পাই না তখন নিজেরাই  একক অভিজ্ঞান হয়ে উঠি



উদ্বাস্তু আদিম

সুন্দর দেখেছি--
চোখের পাতায় স্থির
শেকড় গভীরে একমাত্র বৃক্ষই এভাবে চেয়ে থাকতে পারে
চোখের শীতল যাত্রায় উদ্বাস্তু আদিম প্রণোদনা

বাকলে অবয়বে কালের প্রাজ্ঞতা বাড়িয়ে তাকে চেয়ে থাকতে দেখেছি
অগ্রর্বতী দিকের বিপরীতে অথবা কোনো মধ্যর্বতী পথের অভিমুখে
যেখানে চোখ মনের অদ্বৈত সম্মেলনে স্থিত হয় কিছু  জিজ্ঞাসা বিষাদ,
কালোর যাতনা আর হিম ব্যক্ত নিপাট আরাধনা

প্রতিদানে সে কিছু হারায় অথবা হারায় না
কালের ন্যায্যতায় পায় কিছু ছায়ার প্রসারতা



উত্তরাধুনিক ব্যাপন

ত্বকে উজ্জ্বলতার উপটান মেখে অপেক্ষা করছি-- মেঘের মেকআপে স্ফূর্ত রাইখালি আকাশ চর্চায় সৌন্দর্য বাড়ে কথা জেনে কসমেটিক বিউটি, তোমার লেজারমেশিনে দুর্দান্ত ঢুকে পড়েছি ফেলে আসা হলদে ত্বক দূরপ্রীতি--

গ্রামে, এখনো কিছু সহজ ভঙ্গি আছে ক্ষেতের থইথই শীতল সুর অনভ্যস্ত ভঙ্গিমাকারীদের জলপাই লালপাতা রঙ দেয়, নীরমীন কলতান ভুলিনি, ভুলেছি কী? সদ্য যাপন থেকে জেগে উঠলে গাড়িয়াল চাকার ধ্বনি... ক্যাচ... ক্যাচ দূর...

ফুটে থাকা হাসনা ফুল ভালো লাগে, রাইখালি আকাশে এখানে ঘাসফুল শরীরে বধূ হয়ে ফোটে


                                                                                  (চিত্রঋণ : orge Ignacio Nazábal)

3 comments:

  1. প্রতিটি কবিতার শেষ পংক্তিগুলোতে এক নতুন ধারণা উপস্থাপন ক'রেছেন কবি,,,,,বেশ ভালোলাগলো এমন কবিতা

    ReplyDelete
  2. তিনটি কবিতাই বেশ ভাল লাগল

    ReplyDelete
  3. বিশ্বরূপ বিশ্বাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।

    ReplyDelete