কুয়ো এবং কুয়োতলা
১
কুয়ো
এবং কুয়োতলা। দুটি ভিন্ন অঞ্চল আমাদের বাড়িতে। কুয়োকে দেখি, আস্ত এক
সীমানা ধারণ করে আছে। আমাদের এবং পাশের বাড়ির। গতবছর
তীব্র গ্রীষ্মে কুয়োর জল শুকিয়ে গেলে, সালিশি বসেছিল। যেন বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া মা, ছেলেরা ঋতু
বসিয়ে ভাগ করে নেয়
২
কুয়োতলা, অথচ কুয়ো
নেই। ঠাকুরদাদার আমলে এখানে কুয়ো ছিল, শুনেছি। বছর দুই আগেও গ্রীষ্মের দুপুরে আমরা
কুয়োতলায় বসে লুডু খেলতাম। গল্প শুনতাম। এখন আর লুডু খেলি না। বসি না কুয়োতলায়।
কাঁঠালগাছটাও নেই। অনেকদিন কেউ চিৎকার করে বলেনি, কুয়োতলায়
আয়। চার-পাঁচটা সাইকেল আর একটা বাইক এখন কুয়োতলা আগলে।
চোদ্দ বছরের সদ্য বিবাহিতা মেয়ে স্বামীর স্নানের জন্য
এখনও স্মৃতি থেকে জল তোলে। আমরা, ঠাকুমা বলি
(চিত্রঋণ : Agustin Bejarano)
off. Khub poripati Kore lkha kobita... <3
ReplyDeletebhalo laglo,,,,ditiyoti khub
ReplyDelete"চোদ্দ বছরের সদ্য বিবাহিতা মেয়ে স্বামীর স্নানের জন্য এখনও স্মৃতি থেকে জল তোলে। আমরা, ঠাকুমা বলি"
ReplyDeleteমনোজের কবিতা ভালো লাগে, ভালো লাগলো এই ২টিও।
ReplyDeleteKhub valo laglo... Dutoi...
ReplyDeleteভীষণ ভীষণ ভাল... শেষ লাইনে এসে বৃত্তটি সম্পূর্ণ হ'ল। ওই শেষলাইনই চরম কীলক।
ReplyDelete